ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র আফজাল হোসেন রানাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা গণধর্ষণ মামলা করায় বাদী ও তাঁর পরামর্শদাতাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এসকে এম তোফায়েল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন।দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মামলার বাদী রেনু বেগম ও তাঁর পরামর্শদাতা আজাদ রহমান। রায় প্রদানের সময় আদালতে রেনু বেগম উপস্থিত থাকলেও আজাদ রহমান পলাতক ছিল। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এম আলম খান কামাল এবং আসামি পক্ষে নাসির উদ্দিন কবির।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঝালকাঠি শহরের পাল বাড়ি এলাকার মৃত আবুল কাশেম হাওলাদারের স্ত্রী রেনু বেগম। তিনি একই এলাকার আজাদ রহমানের পরামর্শে শহরের কিফাইত নগর এলাকার বাবুল হাওলাদার ও ঝালকাঠি পৌরসভার সাবেক মেয়র আফজাল হোসেন রানার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনে ২০০৩ সালের ১৬ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সাক্ষি ছিলেন বাদীর পরামর্শদাতা আজাদ রহমান। আদালত রেনু বেগমের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠায়। ২০০৩ সালের ২৯ অক্টোবর মেডিক্যাল রিপোর্ট পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদনের জন্য তৎকালীন সদর ইউএনও এর কাছে পাঠানো হয়। মেডিক্যাল রিপোর্ট ও ঘটনা তদন্ত করেন ইউএনও। তদন্তে ধর্ষণের ঘটনাটি মিথ্যা ও সাজানো প্রমাণিত হয়।
ওই বছরের ১৬ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে এই ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বাদী রেনু বেগমের বিরুদ্ধে বাদীর জবানবন্দি অনুযায়ী পরামর্শদাতা আজাদ রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এ সময় মামলার আসামিদের অব্যহতি প্রদান করেন আদালত।
এরপর আজাদ রহমান হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠায়। আদালতের বিচারক ২০০৬ সালের ২৪ আগষ্ট মামলাটির অভিযোগ গঠন করেন। ৮ জন সাক্ষির সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত এ রায় প্রদান করেন।’’
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply